প্রসূতি মায়ের চিকিৎসায় উল্লেখযোগ্য সফলতা দেখালো আধুনিক সদর হাসপাতাল, পঞ্চগড়।
জরায়ুমুখ সেলাই করে গর্ভস্থ শিশুকে পূর্ণাঙ্গভাবে জন্মদানে আধুনিক সদর হাসপাতাল পঞ্চগড়ের অবস্ এন্ড গাইনী বিভাগ অনন্য সফলতা দেখিয়েছে।
রোগীর সাথে কথা বলে জানা যায় দম্পতির একটি সন্তান থাকলেও পরবর্তীতে পরপর পাঁচটি ভ্রুণ চার-পাঁচ মাসের মধ্যেই গর্ভপাত হয়ে যায়। ইতোপূর্বে আমরা রংপুরে ডাক্তারের পরামর্শে ছয় মাস বাসা ভাড়া করে অবস্থান করছিলাম আরেকটি সন্তানের আশায়। কিন্তু সফল হয়নি।
এমতাবস্থায় আমরা পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে আসি। আলহামদুলিল্লাহ ডাক্তারদের চিকিৎসায় আমরা আরেকবার মা-বাবা হতে পারলাম। সন্তানের মুখ দেখতে পারলাম।
সদর হাসপাতালের অবস্ এন্ড গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাঃ মোছা: নাসরীন পারভীন জানান যে , ” জরায়ুমুখের দুর্বলতা একটি বিরল সমস্যা। এ কারণে বারবার গর্ভপাত হয়ে থাকে। সাধারণত শতকরা একজনের মাঝে এটি পরিলক্ষিত হয়। গর্ভধারণের চারমাস পর এই দম্পতি হাসপাতালে এসেছিলেন। জরায়ুমুখ দুর্বলতা পরীক্ষা করে আমরা তা সেলাই করার সিদ্ধান্ত নেই।
এরপর তিনি নিয়মিত আমাদের ফলোআপে ছিলেন। ৩৭ সপ্তাহ দেখভালের পর সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে আমরা একটি সুস্থ মেয়ে বাচ্চা জন্মদানে সক্ষম হই। বাচ্চার ওজন ৩.২ কেজি। মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ আছে।
উল্লেখ্য যে, পারভীন (৩০) এবং তাঁর স্বামী শাহাজান আলী গরিনাবাড়ি ইউনিয়ন, পঞ্চগড় সদরের বাসিন্দা। পরপর সাতবার গর্ভধারণ করলেও জরায়ুমুখের দুর্বলতার কারণে অস্বাভাবিক গর্ভপাত জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন এই দম্পতি। সদর হাসপাতালের প্রসূতি ও গাইনী বিভাগের আন্তরিক চিকিৎসা ও দক্ষতায় তাঁরা দুজনেই অত্যন্ত আনন্দিত।
পঞ্চগড় সদর হাসপাতালের এই দম্পত্তির চিকিৎসার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন,
ডা: এম. আর রেজা (অবস্ এন্ড গাইনী কনসাল্টেন্ট)
ডা: মোছা : নাসরীন পারভীন (অবস এন্ড গাইনী বিশেষজ্ঞ ), ডা: মনসুর আলম (সিনিয়র কনসালট্যান্ট, এনেস্থিসিয়া), ডা: সিরাজুদ্দৌলা পলিন (কনসালটেন্ট, এনেস্থিসিয়া), ডা: মো: আবু সায়েম ( এফসিপিএস, শিশু বিশেষজ্ঞ) এবং অপারেশন থিয়েটারের সিনিয়র স্টাফ নার্স ও অন্যান্য সহকর্মীবৃন্দ।