হাজ্ঞেবা ! হমরা কি জঙ্গি?
– চুপ, এইলা কহা যাবেনি ।
– কেনে! যাবেনি কেনে? মুসলমান উগ্রবাদী অন্য ধর্মের লোকের বাড়ি ঘড় মন্দির পুড়ায় ফেলিলে জঙ্গি কহা যাবেনি কেনে? মুসলমান লোকলাক গরুর গোস্তের তানে হিন্দু উগ্রবাদীরা কোপায় মারিলে হমাকও কি জঙ্গি কহা যাবেনি? হিন্দু জঙ্গি!
– নহায়, তুই বুঝিবোনি, অইটাতো কাহ কহেনা!
– তে জঙ্গি কাক কহে মোক এলা বুঝাও দি ?
মোল্লা মইনুদ্দী আর এক্রাম মুন্সীর কথা শেষ না হতেই নারায়ন এসে বলে, মোল্লা কাকু, চা খামো ।
এক্রাম মুন্সী আরো কিছু বলতে চায়, মোল্লা মইনুদ্দী তাকে থামিয়ে দিয়ে ফিসফিসিয়ে বলে, চুপ, একদম চুপ, এইলা শুনিলে নারু মনত কষ্ট পাবে !
নারায়ণ এক্রাম মুন্সীর আধ খাওয়া চায়ের কাপ ছিনিয়ে নিয়ে চা খাওয়া শুরু করে, খেতে খেতে কয়, মুন্সী কাকা এইবার ইদত কিন্তু মোর পাঞ্জাবীর রঙ নীল হবা নাগিবে, কহে দিনু ।
মুন্সী কাকা বলে, হ ব্যাটা, তোক নীলেই মেনাবে ।
মোল্লা মইনুদ্দী খবরের কাগজ টা লুকিয়ে রাখে যাতে নারায়ণের নজরে না আসে ! নারায়ণ বুঝে ফেলে মোল্লা কাকা কিছু একটা লুকাচ্ছে, সে খবরের কাগজ টা জোড় করে ছিনিয়ে নেয়, মোল্লা থ, মুন্সী হতবাক…
নারায়ণ খবরের কাগজ টা ছিড়ে টুকরো টুকরো করে ছুড়ে ফেলে বাহির বিস্টিতে, মুন্সী বলে, ব্যাটা, ব্যাটা নারু শুন, ব্যাটা এইলা খবর হামার তানে নহায় ।
নারায়নের চোখ বাহির বিস্টিতে ভিজে যায়, তার লাল চোখের আভায় শুধু দেখা যায় হত বিহ্বল মুন্সী কাকার মুখ, নারায়ণ আস্তে আস্তে মুন্সী কাকার দুই করতলে মুখ গুঁজিয়ে ফুঁপিয়ে ওঠে..
কাকা, মানুষ এমুন হয় ক্যান !