ছবিঃ আব্দুল্লাহ আল মারুফ

কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যাচ্ছে পঞ্চগড় থেকে

আল আমিনঃ পঞ্চগড় থেকে দেখা মিলছে হিমালয় পর্বতমালার তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘার। প্রতিবছর নভেম্বরে শুরুর দিক থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা গেলেও এবার অক্টোবরের শেষের দিকে দেখা মিলছে অপরূপ কাঞ্চনজঙ্ঘার মনোরম দৃশ্য।

বৃহস্পতিবার ২৯অক্টোবর হতে পঞ্চগড়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে খালি চোখে দেখা যাচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা অপরূপ দৃশ্য।

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটক ও ফটোগ্রাফার আসতে শুরু করেছে পঞ্চগড়ে।
গত কয়েকদিনে পঞ্চগড়ের ফেইসবুক ইউজারদের প্রোফাইলে ভাইরাল হয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘার ছবি।

জানা যায়, দুই মেরু রেখার বাইরে সবচেয়ে বেশি বরফ ধারণ করে রেখেছে হিমালয় পর্বতমালা। আর সূর্যের সব রঙেই যেন নিজের মধ্যে ধারণ করে রেখেছে হিমালয়ের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা। তাই সূর্যের আলো বাড়ার সঙ্গে ক্ষণে ক্ষণে পাল্টাতে থাকে হিমালয় ও কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপ।

ছবিঃ হেলাল ইসলাম

ভোরের প্রথম আলোতে লাল রঙ দেখা গেলেও সেই রং লাল থেকে পাল্টে গিয়ে কমলা রঙের হয় তারপর হলুদ রঙ হয়ে সর্বশেষ সাদা দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা ।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস ও উইকিপিডিয়ার তথ্যানুযায়ী, কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতশৃঙ্গ নেপাল ও ভারতের সিকিম সীমান্তে অবস্থিত।
বাংলাদেশের সর্ব-উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর থেকে নেপালের দূরত্ব ৬১ কিলোমিটার, ভুটানের দূরত্ব ৬৮ কিলোমিটার, চীনের দূরত্ব ২শ কিলোমিটার, ভারতের দার্জিলিংয়ের দূরত্ব ৫৮ কিলোমিটার, শিলিগুড়ির দূরত্ব ১০ কিলোমিটার। অন্যদিকে হিমালয়ের এভারেস্ট শৃঙ্গের দূরত্ব ৭৫ কিলোমিটার আর কাঞ্চনজঙ্ঘার দূরত্ব ১১ কিলোমিটার।
কিন্তু মেঘ-কুয়াশামুক্ত আকাশের উত্তর-পশ্চিমে তাকালেই দেখা মেলে বরফ আচ্ছাদিত সাদা পাহাড় কাঞ্চনজঙ্ঘার।
হিমালয়ের পাদদেশে তেঁতুলিয়া উপজেলা অবস্থিত হওয়ায় খালি চোখে দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা।
প্রতিবছর নভেম্বর মাসের শুরু বা মাঝামাঝিতে দেখা গেলেও আকাশ পরিষ্কার হওয়ার কারণে সকালে হঠাৎ করে দেখা গেছে কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ দৃশ্য।

কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরুপ দৃশ্যের পাশাপাশি নয়ানাভিরাম সমতল ভূমির চাবাগান এর সৌন্দর্য বিমোহিত করছে পর্যটকদের।
ইতোমধ্যে দেশ বিদেশের পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হচ্ছে পঞ্চগড়ের হোটেল, মোটেল ও পর্যটন স্পট গুলো।
পর্যটন সংশ্লিষ্ট সকল তথ্য ও সেবা দিয়ে কাজ করছে পঞ্চগড় টুরিস্ট ক্লাব।

Facebook Comments