এম. এ নাঈম, পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার ২ নং ইউনিয়নের বর্মতুল গ্রামের এক চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযাগ উঠেছে একই গ্রামের শামসুল ইসলামের পুত্র মােঃ সুফিয়ার (৪৫) এর বিরুদ্ধে।
এই বিষয়ে মামলা করলে ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। পরিবারের অভিযাগ, মাঝরাতে সুযোগ বুঝে ঘরে ঢুকে তাদের মেয়েকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত সুফিয়ার। কারণ ভিকটিম রাতে একাই এক ঘরে থাকতো। লজ্জায় সে কাউকে কিছু না বললেও পরে তার নানীকে বিষয়টি জানায়। পরবর্তীতে পরিবারের বাকি সদস্যরা বিষয়টি জানতে পারে।
ভিকটিমের বাবা জানান, স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিটমাট করে দিতে চায় এলাকার কিছু লােকজন। ইউপি চেয়ারম্যানকে নিয়ে বসা হলে সেখানে আমরা মামলা করতে চেয়েছিলাম। পরবর্তীতে শালিশী বৈঠকে ৭৫ হাজার টাকায় রফাদফা ঠিক করা হয় এবং ২৫ হাজার টাকা ইউপি চেয়ারম্যানের হাতে জমাও দেওয়া হয়। ইউপি চেয়ারম্যান ধর্ষণের কথা স্বীকার করে বলেন, এটা মিটমাট হয় গেছে। ভুক্তভোগীকে ৭৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে অভিযুক্ত পরিবার থেকে। এরই মধ্যে ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে যা আমার কাছে জমা আছে।
তেঁতুলিয়া উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুলতানা রাজিয়া বলেন, আমি ধর্ষনের কথা শুনেছি কিন্তু টাকা লেনদেন সম্পর্কে আমি ঠিক জানি না।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, টাকার বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে আমাদের কাছে এরকম কোন অভিযাগ এখনো আসেনি ।